সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবেশী ভারত পেঁয়াজের রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ার পর দেশে হঠাৎ এর দাম আকাশচুম্বী হয়ে যায়। এ বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ মানভেদে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়। এ পরিস্থিতিতে বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার টিসিবির মাধ্যমে সারা দেশে একযোগে পণ্যটি বিক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
আরও পড়ুন:অনলাইনে ২৩ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে টিসিবির পেঁয়াজ
টিসিবি কর্মকর্তা আনিসুর রহমান জানান, গত ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে সারা দেশে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির ফলে সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী খুলনার পাঁচটি পয়েন্টে ট্রাকে করে প্রতিদিন দুই টন করে পেঁয়াজ বিক্রি করা হয়েছে। গত তিন মাস এখানে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৩০ টাকা করে বিক্রি করা হয়। আর বর্তমানে তা ২০ টাকা করে বিক্রি করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রামে পুলিশের উদ্ধার করা চোরাই পেঁয়াজ নিলামে
তিনি বলেন, এখন নতুন পেঁয়াজের মৌসুম শুরু হওয়ায় দাম একটু কমতে শুরু করেছে। ফলে মানুষ এখন আমাদানিকৃত পেঁয়াজের দিকে কম ঝুঁকছে। তবুও টিসিবির গুদামে ৫০ টন পেঁয়াজ মজুদ আছে, সেটাও বিক্রি হবে। এ ব্যাপারে তিনি নিজেই শহরে মনিটরিং করছেন।
অপরদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ডিলার জানান, তাদের প্রতিদিন বাধ্যতামূলক দুই টন পেঁয়াজ দেয়া হচ্ছে। এ জন্য অনেকে পণ্য তোলা বন্ধ করে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন:শত শত বস্তা পচা পেঁয়াজ ফেলে দিচ্ছে আড়তদাররা, তবুও কমছে না দাম
বৃহস্পতিবার নগরীর অনেক পয়েন্টে টিসিবির পণ্য বিক্রি করতে দেখা যায়নি।
এদিকে, খুলনার খুচরা বাজার গিয়ে দেখা যায় যে বিক্রেতারা অনেকটা অলস সময় পার করছেন। বাজারে পুরাতন পেঁয়াজের দাম একটু বেশি থাকায় বিক্রি হচ্ছে কম।
আরও পড়ুন:ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানির সিদ্ধান্ত আসতে পারে ৭ অক্টোবর
মেসার্স আরমান ট্রেডার্সের মালিক জানান, বাজারে এখন নতুন পেঁয়াজ উঠতে শুরু করেছে। এর চাহিদা একটু বেশি। বর্তমানে ভালো মানের নতুন পেঁয়াজের দাম ৪০ থেকে ৪৫ টাকার মধ্যে আর মাঝারি মানেরটা ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
সাধারণ ক্রেতারা মাঝারি মানের পেঁয়াজ ক্রয় করছেন বেশি। আগামী ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে বাজারে নতুন পেঁয়াজের আমাদানি আরও বাড়ার সম্ভাবনা আছে। তখন নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যটির দাম সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে চলে আসবে বলে এ বিক্রেতার অভিমত।